অসহায় মহিলাদের বিভিন্ন কর্মমূখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে সরকারীভাবে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে মহিলাদের কর্মের ব্যবস্থা করে তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন করা যেতে পারে। যেসব স্বপ্ল শিক্ষিত হত দরিদ্র অসহায় মহিলারা বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে তাদের ট্রেড ভিত্তিক কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে যেহেতু জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী নারী ,সেহেতু পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কাজ পেলে তারাও পুরুষের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় প্রশিক্ষনার্থী যেসব মহিলারা ঠোংগা তৈরী, মোমবাতি তৈরী ইত্যাদি প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদেরকে ঋণ প্রদান করে বাজার পর্যায়ে সাব ষ্টোরে রেখে বিক্রয় কিংবা বাজারজাত করার লক্ষ্যে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। শ্রেণী ও যোগ্যতার মাপকাঠি অনুযায়ী তাদের কাজ দিয়ে তাদের উন্নয়ের ব্যবস্তা করা যেতে পারে। তাছাড়া যেসব দরিদ্র মহিলাদের অর্থ নেই,কর্ম নেই,কিংবা কর্ম যোগানোর কোন লোকবল নেই কিন্তু বাস্তু ভিটার পার্শ্বে সামান্য কয়েক শতক জমিও পুকুর আছে এমন মহিলাদের স্ব-স্ব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নার্সারীকরণ,সবজিচাষ,মৎস চাষ,গরু মোটাতাজাকরণ, হাসঁমুরগী পালন ইত্যাদি প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে এ মহিলারা ঘরে বসে থেকে সংসার পরিচালনার গুরু দ্বায়িত্ব পালন করতে পারবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস