লক্ষ্মীপুর জেলায়- দুস্থ: ও অসহায় মহিলাদের ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলাধীন ০৫টি উপজেলার ৫৮টি উপজেলায় ০২ বছর মেয়াদে ৮,৩৪০জন কার্ড ধারীকে ৩০ কেজি গম অথবা চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। এর বিপরীতে দুস্থ: ও অসহায় মহিলাদের নিকট হতে ২০০/-টাকা হারে মাসিক সঞ্চয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী ও জেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে থাকে।
দরিদ্র মা’র জন্য মাত্যত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচীর আওতায় দরিদ্র মা’র মাতৃত্বকালীন পুষ্টির চাহিদা মেটানো এবং শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টিপূরণে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।তাছাড়া চুক্তিবদ্ধ এনজিও কর্তৃক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দরিদ্র মা’দের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক উদ্যোগে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। লক্ষ্মীপুর জেলাধীন ০৫টি উপজেলার ৫৮টি উপজেলায় ০২ বছর মেয়াদে ৬,৩০১ জন মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীকে মাসিক ৫০০/- টাকা হারে ভাতা প্রদানের কাজ করে থাকে।
ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কার্যক্রমের আওতায়- লক্ষ্মীপুর পৌরসভাস্থ,রায়পুর ,রামগঞ্জ, রামগতিসহ সকল পৌরসভার কর্মজীবি অসহায় ১৭১০ জন দুগ্ধদায়ী মা’েয়র এবং শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পূরণে ০২ বছর মেয়াদে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের মধ্যে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অব্যাহত ভুমিকা পালনে বদ্ধপরিকর। এ জেলার সদর উপজেলায় ২১টি ইউনিয়নে ২৬৪ জন দু:স্থ অসহায় মহিলাদেরকে ঘূর্নয়মান ঋণ তহবিলে বছর বছর সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ১৪,৬১,০৬৬/- টাকা ঋণ বিতরণ করেছে । তাছাড়া রামগতি,রায়পুর,কমলনগর,রামগঞ্জের ৩৭ টি ইউনিয়নে ২৪,৭৪,৫৫৪.৮৪/- টাকা সরকারী বরাদ্ধ পেয়ে ৪৫৪ জন দু:স্থ অসহায় মহিলাদেরকে ঋণ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের মধ্যে আইন বিষয়ক কর্মকান্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জেলা দায়রা জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট কর্র্তৃক আনীত কোন অভিযোগ নিরসনমূলক মিমাংসা উভয়ের উপস্থিতিতে আলোচনা সাপেক্ষে না হলে উক্ত মামলার রির্পোট সঠিকভাবে দিয়ে থাকে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ- মহিলাদের বিভিন্ন কর্মমূখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে সরকারীভাবে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে মহিলাদের কর্মের ব্যবস্থা করে তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন করবো। স্বপ্ল শিক্ষিত হত দরিদ্র অসহায় মহিলাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসে তাদের জীবিকায়নের জন্য কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে যেহেতু জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী নারী ,সেহেতু পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কাজ পেলে পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে দেশীয় পর্যায়ে পুরুষের কাজের চাপ অনেকটা কমে যাবে, অন্যদিকে জনশক্তির ক্ষতিকর দিকটি জন সম্পদে পরিনত হবে।কেননা যে পরিবারের মহিলাই প্রধান বা একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি সে পরিবারের মহিলার উপার্জনের জন্য কোন কর্ম না থাকলে ঐ পরিবারের সকল সদস্যরা অভাবের তাড়নায় বিভিন্ন অন্যায়মূলক কাজে লিপ্ত হবে। সেদিক থেকে দু:স্থ অসহায় নারীদেরকে কারিগরি ও কর্মমূখী শিক্ষার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কম্পিউটার ও মোবাইল সার্ভিসিং এবং রির্পেয়ারিং , ফ্যাশান ডিজাইন, গার্মেন্টস ইত্যাদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব, দারিদ্র্যমুক্ত পরিবার ও সমাজ গড়ব। তাছাড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় চলমান বেশ কিছু ট্রেডে শ্রেণী ও যোগ্যতাভিত্তিক- সেলাই প্রশিক্ষণ দর্জিবিজ্ঞান, গার্মেন্টস, বিউটি ফিকেশান, ঠোংগা তৈরী, মোমবাতি তৈরী ইত্যাদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিরাদেরকে ঋণ প্রদানের আওতায় নিয়ে এসে তাদেরকে ঋণের টাকায় উক্ত কার্যক্রমের ব্যবস্থা করে বাজার পর্যায়ে সাব ষ্টোরে রেখে বিক্রয় কিংবা বাজারজাত করার লক্ষ্যে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করবো। যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিবেচনা করে তাদের কাজ দিয়ে তাদের উন্নয়ের ব্যবস্তা করতে হবে। তাছাড়া যেসব দরিদ্র মহিলাদের অর্থ নেই,কর্ম নেই,কিংবা কর্ম যোগানোর কোন লোকবল নেই, কিন্তু বাস্তু ভিটার পার্শ্বে সামান্য কয়েক শতক জমিও পুকুর আছে এমন মহিলাদের স্ব-স্ব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নার্সারীকরণ,সবজিচাষ,মৎসচাষ,গরু মোটাতাজাকরণ, হাসঁমুরগী পালন ইত্যাদি প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করবো যাতে তারা ঘরে বসে থেকে সংসার পরিচালনার গুরু দ্বায়িত্ব পালন করতে পারে। কেননা বর্তমানে মহিলারা পারিবারিক উন্নয়নে যতেষ্ট ভুমিকা রাখছে। এজন্য প্রয়োজন হবে শুধু অল্প পরিমান পুঁজির বিনিয়োগ ও দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ। যার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদ্প্তরের পরবর্র্র্তী পরিকল্পনায় উল্লেখিত কারিকুলমের মাধ্যমে দু:স্থ ও স্বল্প শিক্ষিত হত দরিদ্র, বিপত্মীক, বেকার মহিলাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করে তাদের কাজে লাগিয়ে দিয়ে উন্নত জনসম্পদে পরিনত করবো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস